ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশে উন্নয়নের সাথে বাড়ছে শিক্ষার হার -সাইমুম সরওয়ার কমল

ramu-pic-mp-komol-10-12-16সোয়েব সাঈদ, রামু :::

রামু-কক্সবাজার আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, অতীতের মতো এখন আর অর্থের অভাবে মানুষকে শিক্ষা অর্জন থেকে বঞ্চিত হতে হয় না। দেশ এখন দিনদিন উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে। এ কারনে দেশে শিক্ষিত মানুষের হারও বাড়ছে। শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের নানামুখি পদক্ষেপের ফলে এ অর্জন সম্ভব হচ্ছে।

শুধু শিক্ষিত হলেই হবে না, শিক্ষার সুফল যেন দেশ ও দেশের মানুষ ভোগ করতে পারে। আগামী প্রজন্ম যেন সুশিক্ষা লাভ করে। এ ব্যাপারে প্রতিটি এলাকার শিক্ষিত জনগোষ্ঠিকে ভুমিকা পালন করতে হবে। রামুর রাজারকুলে মর্ডাণ কেজি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে এ জনপদের সংগঠন গ্র্যাজুয়েশন ফোরাম অনন্য নজির স্থাপন করেছে।

রামু উপজেলার পূর্ব রাজারকুলে গ্র্যাজুয়েশন ফোরামের উদ্যোগে নবপ্রতিষ্ঠিত মর্ডাণ কেজি স্কুলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংসদ কমল এসব কথা বলেন। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে সাতটায় স্কুল মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, প্রবীন শিক্ষক আবদুল জলিল।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদুর রহমান সোহেল, রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান মুফিজ, মুক্তিযোদ্ধা রমেশ বড়–য়া, রামু উপজেলা উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়–য়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক, আওয়ামীলীগ নেতা হাসান আজিজ, ইউপি সদস্য আঙ্গুরী বড়–য়া প্রমুখ।

পূর্ব রাজারকুল গ্র্যাজুয়েশন ফোরামের সদস্য পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আবছার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পূর্ব রাজারকুল গ্র্যাজুয়েশন ফোরামের সদস্য ব্যাংকার আবদুর রহিম। এরআগে প্রধান অতিথি সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল মডার্ণ কেজি স্কুল ভবনে ফিতা কেটে স্কুলের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে পূর্ব রাজারকুল গ্র্যাজুয়েশন ফোরামের সভাপতি ও মডার্ণ কেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, মুন্সী আবদুর রহিম, স্থানীয় সমাজসেবক হাকিম আলী, পূর্ব রাজারকুল গ্র্যাজুয়েশন ফোরামের সদস্য রতন বুড়য়া, মো. নাছির উদ্দিন, আজমল হোসেন রনি, পটল বড়–য়া, মো. জাহেদ উল্লাহ, এডভোকেট ওমর ফারুক, এহসান উল হক, অতীশ বড়–য়া বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, পূর্ব রাজারকুল গ্র্যাজুয়েশন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও রামু কলেজের প্রভাষক ফুটবলার জাহাঙ্গীর আলম, বিশ্বজিৎ বড়–য়া, নিউটন বড়–য়া, জাতীয় দলের ফুটবলার দিদারুল আলম, মডার্ণ কেজি স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক রাশেদ কামাল, সহকারি শিক্ষক শাহিনা আক্তার, রিখন বড়–য়া, জিহান আক্তার, সাথী বড়–য়া। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মৌলানা মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতে গ্র্যাজুয়েশন ফোরামের সদস্যরা মঞ্চে এসে অতিথিদের সাথে পরিচয় ও কুশল বিনিময় করেন।

 ##################

রামুতে ন্যূনতম ১৮ বছর বিয়ের বয়স নির্ধারণের দাবিতে মানববন্ধন

রামু প্রতিনিধি :::

কক্সবাজারের রামুতে কোন ধরনের ‘বিশেষ ক্ষেত্র’ ছাড়া ন্যূনতম ১৮ বছর বিয়ের বয়স নির্ধারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৬’ এর খসড়া সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের প্রেক্ষিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ট্রাস্ট।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল দশটায় রামু উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে রামু-কক্সবাজার সড়কে আয়োজত এ মানবন্ধনে সংস্থাটির অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা অংশ নেন।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ট্রাস্ট এর রামু উপজেলা শাখা ব্যবস্থাপক আবু বকর, সমন্বয়কারি আরিফ হোসাইন, কোস্ট ট্রাস্টের বোর্ড অব ট্রাস্টি সাবেক ইউপি সদস্য রুমা আকতার ও ফিল্প ফ্যাসিলেটর টুম্পা দত্ত।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৬’ এর খসড়া কিশোরীদের আরো বেশী বাল্য বিবাহের মুখে ফেলবে। তাই এ আইন অবিলম্বে সংশোধন করে কোন ধরনের ‘বিশেষ ক্ষেত্র’ ছাড়াই ন্যূনতম ১৮ বছর বিয়ের বয়স নির্ধারণ করতে হবে। সেই সাথে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন প্রদান বন্ধ, বাল্য বিবাহে সহযোগিতাকারি প্রভাবশালীদের হাত থেকে কিশোরীদের রক্ষ করতে হবে। অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে কিশোরীদের লেখাপড়া মাঝপথে বন্ধ করা যাবে না। সুস্থ মা সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে পারে, তাই ১৮ এর আগে বিয়ে নয়, ২০ এর আগে সন্তান নয়। অধিক সন্তান জন্মদানে উৎসাহী করবে এমন আইন চাই না। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

####################

 রামুর আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ আলম সওদাগরের ইন্তেকাল

সোয়েব সাঈদ, রামু :::

রামুর মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক একাত্তরের কারা নির্যাতিত আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ আলম সওদাগর আর নেই। তিনি শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮১ বছর। তিনি স্ত্রী, ছয় ছেলে, ছয় মেয়ে, নাতি-নাতনী, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় রামু কেন্দ্রীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাযা শেষে রামু এমদাদিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসা সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। তাঁর মৃত্যুর খবরে রাজনৈতিক, সামাজিক অঙ্গন ও আবদুল আলী সিকদার বংশসহ এলাকার সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে।

রামু-উখিয়ার প্রাচীন আবদুল আলী সিকদারের বংশের দশম পুরুষ সৈয়দ আলম সওদাগর রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসেরচর এলাকার মরহুম হোছন আলী সিকদারের বড় ছেলে। মুক্তিযুদ্ধ সময়কালে রামু থানা আওয়ামীলীগের নেতা সৈয়দ আলম সওদাগর পাক-হানাদার বাহিনী কর্তৃক কারা নির্যাতিত হন। তিনি রামু-উখিয়া উপজেলার প্রাচীন আবদুল আলী সিকদার বংশের ফতেহ আলী মাতবর প্রজন্ম কমিটির উপদেষ্টা সদস্য ছিলেন।

নামাজে জানাযাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, রামু কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল হক, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওবাইদুল হক, এড. নুরুল ইসলাম, রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাফরন আলম চৌধুরী, রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা বখতেয়ার আহমদ, মরহুমের দ্বিতীয় ছেলে মো. নুরুল আলম চৌধুরী প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন, রামু-উখিয়া উপজেলার আবদুল আলী সিকদার বংশ সংহতি সংঘের সদস্য আ হ ম নূরুল কবির হিলালী। নামাজে জানাযায় ইমামতি করেন, আবদুল আলী সিকদার বংশের ফতেহ আলী মাতবর প্রজন্ম কমিটির সদস্য মৌলানা আবদু শুক্কুর।

পাঠকের মতামত: